কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা ও বৈশিষ্ট্য এর ভালো দিক এবং ভবিষ্যৎ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

আজকে আমরা দেখবো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি, সুবিধা অসুবিধা ও তিনটি প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব , আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো দিক এবং এর ভবিষ্যৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে ব্যবহৃত প্রোগ্রাম কি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষা কোনটি ? এসব বিষয় নিয়ে আমরা আজকে সম্পূর্ণ আলোচনা করবো।

আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এটি লিখতে লিখতে আমার যে অভিজ্ঞতা চিন্তা উঠে এসেছে তা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছি।

আমরা প্রতিদিন নানানভাবে জ্ঞান অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হই, সেগুলো আমাদের প্রেরণা যুগাতে সাহায্য করে এবং নতুনভাবে ভাবতে শিখায়। আমি আপনাদের কাছে আশা রাখি, আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নতুনভাবে জানতে শিখবেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট) হলো একটি শাখা যেটা কিনা কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির।

যার ধারাই , কম্পিউটার এবং মেশিন সিস্টেমকে মানুষের মত চিন্তা করাই। সহজভাবে বলতে চাই, এটি এমন একটি প্রযুক্তি যেটা কিনা মেশিন ও কম্পিউটার কে হিউম্যানের মতো আচরণ করতে শিখায়। আধুনিক প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা

অনেক সুবিধা অসুবিধা আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার । এর প্রভাব প্রযুক্তি ও অর্থনীতির ওপর ব্যাপকভাবে পড়ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা

দক্ষতার বৃদ্ধি করা নির্ভুল এবং দ্রুত কাজ করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক ভালোভাবে। যা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় মানুষের আরো অনেক দীর্ঘ সময় দরকার পড়বে।

ব্যয় হ্রাস যেমন একবার মেশিন করার পরে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারে যা খরচ এবং শ্রম দুইটা কমায়।

সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিতে সাহায্য করে, অনেক ভালোভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে ডাটা বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে। যা একজন মানুষের চিন্তার সীমাবদ্ধ চেয়ে বেশি। কার্যকর যেমন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রূপ নির্ণয় থেকে শুরু করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে।

উন্নয়ন এবং মানুষের গবেষণার জন্য নতুন সমাধান বের করতে সক্ষম হয়। ওষুধ তৈরি ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার গুরুত্ব করেছি আমাদের দেশের অনেক ফার্মাসিস্ট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগের ওষুধ বানাচ্ছেন। এছাড়া আরো অনেক রূপ নির্ণয় সহযোগিতা করেন সাথে রূপ নির্ণয়ের ত্রুটি কমায়।

বিষন্ন ও উদ্বেগ থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনি কৃত্রিম বুদ্ধিমতো সাহায্য নিতে পারেন। সে আপনাকে বলে দিবে কিভাবে বিষন্ন এবং উদ্বিগ্ন থেকে বেরিয়ে আসবেন। এছাড়া চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরো অনেক উপকারে আসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

মানব জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেমন অসুবিধার প্রভাব ফেলছে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধা গুলো আমাদের জীবনে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে।

আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক দিকগুলো বিবেচনা করলে হবে না নেতিবাচক দিকগুলো বিবেচনা করতে হবে। সঠিক নীতিমালা এবং নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়াগুলো আমাদের সবারই জানা উচিত।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধা গুলোর কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে চাকরি হারানো। AI প্রযুক্তি অটোমেশনের দিয়ে মানুষের কাজের জায়গা দখল করে নিয়েছে।

জরিপে দেখা গেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে প্রতি 100 জন্য 5 জন চাকরি ছুতো হচ্ছে। AI প্রযুক্তি অটোমেশনের কল সেন্টারে অনেক লোক চাকরির ছুত হচ্ছে।

দস্যুরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত হচ্ছে। সেটি হতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের ডাটা চুরি করে পরে তারা আমাদের সাথে ব্ল্যাকমেইল করে। যা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমাধানের প্রশিক্ষণে নিরপেক্ষ তথ্যের ফলে ব্যবহারকারীরা পক্ষপাতদুষ্ট হবেন।  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাহায্যে আসার পর পর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসমাধানগুলির সাথে আরও বেশি মিথস্ক্রিয়া হবে এবং মানুষের থেকে মানুষের মধ্যে কথাবার্তা কম হবে। এআই সমাধানের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা সিস্টেমের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে মানুষকে সম্পূর্ণরূপে অপ্রস্তুত করে তুলবে।

এর আশ্চর্যজনক ফলাফল সত্ত্বেও, কোন ক্ষেত্রে AI সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত সেগুলির সম্ভাব্য নেতিবাচক পরিণতিগুলি সনাক্ত করা অপরিহার্য।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তিনটি প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য

প্রথম প্রজন্ম হলো সংকীর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেটা, নির্দিষ্ট কাজ এবং সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং এবং মানুষের চেয়ে ভালোভাবে কাজ করে। যেমন পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট Siri, alexa এর মতো অনেক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

দ্বিতীয় প্রজন্ম হলো সাধারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেটা, মানুষের মতো চিন্তা এবং ভাবতে সক্ষমতা রাখে। অনেক বড় বড় সমস্যা নিমিষে সমাধান করে। বাস্তব জীবনে পরিস্থিতি সমালোচনা করতে সক্ষমতা রাখে। তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হচ্ছে chatgpt।

তৃতীয় প্রজন্ম হলো সুপার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেটা, অনেক বুদ্ধিমান এমন স্বয়ংসম্পূর্ণ যা মানুষের চেয়ে অনেক ভালোভাবে চিন্তা করতে পারে। সৃজনশীল চিন্তা থেকে শুরু করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ তাছাড়া অনেক আবেগপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম হয়। এটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়নি এটি ভবিষ্যতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

ব্যবসায় ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার

ব্যবসায় ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গ্রাহক পরিষেবাকে উন্নত করেছে। চ্যাটের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে 24/7 সার্ভিস দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে এক গ্রাহকদের চাহিদা এবং সমস্যা গুলা চিহ্নিত করতে পারে। ব্যবসায় ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনেক সুবিধা আছে, ডাটা বিশ্লেষণ করে গ্রাহকদের চাহিদা এবং পছন্দ বুঝতে সক্ষম হয়। বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং তৈরি করা সম্ভব।

মোটর চাহিদা কবে বাড়বে এবং কমবে তার পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হয়। তার মধ্যে আরো আছে, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এবং লজিস্টিক অপটিমাইজেশন।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। যেমন কর্মী নিয়োগ, উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই এবং আবেদনপত্র স্ক্রিনিং। কর্মী প্রশিক্ষণ, AI ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়ন। কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন আরো অনেক কাজের ভূমিকা পালন করে। সুতরাং এই থেকে বুঝাই গেল যে, ব্যবসা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরো কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়?

পরিবহন (Transportation), বুদ্ধিমত্তা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করেছে। রুট অপটিমাইজেশন সেবা এবং ড্রোন ডেলিভারি পরিষেবা থেকে শুরু করে আরো অনেক কাজে আসে।

কৃষিকাজে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে এআই। স্মার্ট ফার্মিং এবং রুন ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয় কৃষিকাজ। এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ফসলের স্বাস্থ্যের র্যবেক্ষণ করা হয়। জমির ফলাদি এবং মাটির গুণগত পর্যবেক্ষণ এবং সঠিক কীটনাশক ব্যবহার।

ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং খাদে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের বড় গুরুত্ব রাখে যেমন, প্রতারণা শনাক্ত করে। ঋণ অনুমোদন এবং ক্রেডিট স্কোরিং। ট্রেডিংয়ে ধারণা রাখে AI সাথে আর্থিক ডাটা বিশ্লেষণ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে ব্যবহৃত প্রোগ্রাম কি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) তৈরিতে অনেক ধরনের প্রোগ্রামিং ভাষা অনেকগুলো টুলস অনেকগুলো ফ্রেমওয়ার্কের সমন্বয়ে তৈরি। এই ইকুইপমেন্টগুলাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করে। প্রধান কয়েকটি প্রোগ্রামিং ভাষায় এবং তাদের ডিটেলস নির্ণয় দেওয়া হলো।

পাইথন :

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা ল্যাঙ্গুয়েজ হলো পাইথন। এর সহজ সিস্টেম এবং বিশেষ লাইব্রেরী সমন্বয়ে গঠিত।

Python ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে অনেক প্রোগ্রামার অনেক সুন্দর সুন্দর AI বানিয়েছে। ব্যবহার করে পৃথিবীর অনেক মানুষ উপকৃত হচ্ছেন তাদের ব্যবসায়িক কাজে এবং তাদের অফিশিয়াল কাজকর্মে।

  • TensorFlow: গভীর লার্নিংয়ের জন্য।
  • PyTorch: গবেষণামূলক কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য।
  • scikit-learn: মেশিন লার্নিং এমন অ্যালগরিদম বোঝার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • Pandas ও NumPy: অনেকগুলো ডাটা ম্যানুপুলেশন এবং বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

আর (R):

ইতিমত তৈরির কাজে আরেকটি জনপ্রিয়তা ল্যাঙ্গুয়েজ হলো R ল্যাঙ্গুয়েজ। সংখ্যা ও ডাটা ভিজুয়ালাইজেশনের জন্য এই ল্যাঙ্গুয়েজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অসংখ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বানানো প্রজেক্টে এই ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়েছিল।

জাভা :

Java ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রামারদের জন্য একটি জনপ্রিয় ল্যাঙ্গুয়েজ। এটি মূলত অ্যাপ ডেভলপিং কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

যেমন আমরা যখন chatgpt ইউজ করি ফোনের মধ্যে তখন ফোনের ফাংশনালিটি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করে এই java ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে।

AI ইন্টিগ্রেশন এবং বড় স্কেল এন্টারপ্রাইজ জন্য ব্যবহৃত হয়। Weka ও DL4J অনেক টুলস ব্যবহার করা হয়।

সি++:

উচ্চ পারফরম্যান্স এবং ডিপ লার্নিংয়ের জন্য c++ ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন গেম ডেভলপিং এবং রোবটিক্সদের কাছে আসে এই ল্যাঙ্গুয়েজ।

সি প্লাস প্লাস ল্যাঙ্গুয়েজ একটি জনপ্রিয় ল্যাঙ্গুয়েজ ডেভলপার দের কাছে যা একজন ডেভেলপার দেরকে ডি নলেজ দেয় এবং অ্যালগরিদম এর জন্য এই ল্যাংগুয়েজের গুরুত্ব এবং ভূমিকা অপরিসীম।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষা কোনটি?
  • Python
  • R
  • Java
  • C++
  • Julia
  • Prolog
  • Lisp

প্রকৌশলী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

প্রকৌশলী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো প্রকৌশলিতে সমস্যার সমাধান এবং তাদের সিস্টেম ডিজাইন, কিভাবে উন্নয়ন করবে, অথবা তাদের কাজের পরিচালক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

এসব সিস্টেমগুলা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যা তাদের তথ্য বিশ্লেষণ পূর্বাভাস ও অপটিমাইজেশন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

প্রকৌশলী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্যঃ

১/ সঠিক ডাটা বিশ্লেষণ।

২/ বিভিন্ন ডিজাইনকে অপটিমাইজ করা।

৩/ জটিল সমস্যার সমাধান।

৪/ পুনরাবৃত্তিমূলক এমন কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে সক্ষম হওয়া।

ব্যবহারের ক্ষেত্রেঃ

১/ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে মাত্র বিভিন্ন মেশিন বা কম্পিউটারের ডিজাইন করা।

২/ রোবটিক্স এর কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের মাধ্যমে।

৩/ বিভিন্ন কাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজে আসে।

দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার প্রকৌশলীদের বিভিন্ন কাজে, যা প্রকৌশলীদের আরো দক্ষ এবং অভিজ্ঞ করে তোলে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ অনেকভাবে বিপ্লব ঘটাতে পারে এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং সম্ভাবনা রাখে। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব ততই বাড়ছে।

নিচে কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ এবং সম্ভাবনার প্রভাবগুলো উল্লেখ করা হলো।

কর্মক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশাল প্রভাব ফেলবে তাই বুঝাই যায়। যেমন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের জীবনে নতুন কাজ করতে রুটিন ফলো করার মাধ্যমে সময় এবং শ্রম দুইটাই বাচাবে।

অনেক নতুন নতুন কাজের উন্মোচন হবে, যারা ai পরিচালনা করতে পারবে। আরো বলতে পারেন ডাটা বিশ্লেষণ করো রোবটিক্স।সৃজনশীল এবং প্রকৌশলী দিক দিয়ে অনেক ভূমিকা পালন করবে।

ডায়াগনস্টিক স্টুলস এর কথা না বললেই নয়, যার মাধ্যমে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণ করা যাবে। রোগীর জিনগত চিকিৎসা ডাটা বিশ্লেষণে পরামর্শ নিতে পারবেন।

পরিবেশ সুরক্ষার কাছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক ভালো ভূমিকা পালন করে। এআই প্রজাতি ধনী এবং গরিবের মধ্যে বৈষম্য বাড়াতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমতের ভবিষ্যৎ যেমন বিশাল তেমন সম্ভাবনা অনেক। এটি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ সমৃদ্ধ করে তুলবে। তাই আমাদের সকলের উচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ভালো কাজে ব্যবহার করা খারাপ কাজে যেন ব্যবহার না করি।

অবশেষে, আমাদের জীবনে এক নতুন ভূমিকা উন্মোচন করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। এটা শুধু প্রযুক্তিগত উন্নতি নয়, বরং আমাদের সমাজ এবং মানব জীবনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। তবে এর সঠিক ব্যবহার এবং নৈতিকতা ব্যাপারে আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে। ধন্যবাদ আপনাদের সকলকে আমাদের সাথে থাকার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *